কর্পোরেট স্থায়িত্ব শুরু হয় সে সংস্থার মান ব্যবস্থা এবং ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে নীতি-ভিত্তিক পদ্ধতির মাধ্যমে। এর অর্থ হলো এমনভাবে পরিচালিত হওয়া যাতে মানবাধিকার, শ্রম, পরিবেশ এবং দুর্নীতিবিরোধী ক্ষেত্রে ন্যূনতমভাবে মৌলিক দায়িত্বগুলি পূরণ করা যায়।দায়িত্বশীল ব্যবসাগুলি তাদের সকল পদচারণায় একই মান এবং নীতি কার্যকরণের মাধ্যমে নিশ্চিত করে যেন একটি সেক্টরের ভালো অভ্যাসগুলো যেন অন্য সেক্টরের ক্ষতির কারণ না হয়। ইউএন গ্লোবাল কমপ্যাক্টের দশটি নীতিমালা, কৌশল ও পদ্ধতি সংহত করে এবং অখণ্ডতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সংস্থাগুলি কেবল মানুষ এবং গ্রহের প্রতি তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব বহন করে না বরং দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের পথে ফলপ্রসূ হয়।
জাতিসংঘের গ্লোবাল কমপ্যাক্টের দশটি মূলনীতি হল : মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মৌলিক নীতি ও কর্মক্ষেত্রে অধিকার সম্পর্কিত ঘোষণা, পরিবেশের বিকাশ সম্পর্কিত রিও ঘোষণা এবং জাতিসংঘ দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশন।
নীতি ১: ব্যবসায়ে আন্তর্জাতিকভাবে ঘোষিত মানবাধিকার সুরক্ষা সমর্থন এবং সম্মান করা উচিত
নীতি ২: মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে অসম্পৃক্ততা নিশ্চিতকরণ।
নীতি ৩: ব্যবসায়িক আসোসিয়েশনের স্বাধীনতা এবং সম্মিলিত দর কষাকষির অধিকারের কার্যকর স্বীকৃতি গ্রহণ করা উচিত
নীতি ৪: সকল প্রকার জোর ও বাধ্যতামূলক শ্রমের নির্মূল
নীতি ৫:শিশুশ্রমের কার্যকর বিলোপ
নীতি ৬:কর্মসংস্থান এবং পেশার ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণ।
নীতি ৭: ব্যবসায়ে পরিবেশগত চ্যালেঞ্জগুলো জন্য একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা
নীতি ৮: বৃহত্তর পরিবেশগত দায়িত্ব প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ
নীতি৯: পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির বিকাশ এবং প্রসারণকে উৎসাহিত করা
নীতি ১০: ব্যবসায়ে চাঁদাবাজি ও ঘুষসহ সকল প্রকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করা।